INDIA HISTORY AUDIO FILE
ভারতের ইতিহাস ঃ
উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত এই উপমহাদেশটি ভারতবর্ষ নামে পরিচিত।জানা যায় যে মহাকাব্য ও পুরাণে একে 'ভারতবর্ষ' অর্থাৎ 'ভরতের দেশ' এবং এর অধিবাসীদের ভারতী অর্থাৎ ভারতের সন্তান বলা হয়েছে। গ্রীকরা ভারতকে ভারত বলেছিল এবং মধ্যযুগ মুসলিম ঐতিহাসিকগণ একে হিন্দ বা হিন্দুস্তান নামে সম্বোধন করেছেন।
অধ্যয়নের সুবিধার জন্য ভারতের ইতিহাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে - প্রাচীন ভারত, মধ্যযুগীয় ভারত এবং আধুনিক ভারত।
প্রাচীন ভারত
1. প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উৎস ::
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য প্রধানত চারটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়- (1) ধর্মীয় শাস্ত্র (2) ঐতিহাসিক গ্রন্থ (3) বিদেশীদের বর্ণনা (4) প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ
ধর্মীয় গ্রন্থ ও ঐতিহাসিক গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
ভারতের প্রাচীনতম ধর্মীয় ধর্মগ্রন্থ হল বেদ, যার সংকলককে মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস বলে মনে করা হয়।
চারটি বেদ আছে – ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
ঋগ্বেদ:
ঋগ্বেদ এতে 10টি মণ্ডল, 1028টি সূক্ত রয়েছে এবং 10,462টি শ্লোক আছে। এই বেদের শ্লোকগুলি যে ঋষি পাঠ করেন তাকে হোত্রী বলা হয়। এই বেদ আর্যদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য জানা যায় ।বিশ্বামিত্র রচিত ঋগ্বেদের তৃতীয় মন্ডল সূর্য দেবতা সাবিত্রীর জন্য বিখ্যাত এটি গায়ত্রী মন্ত্র উল্লেখ আছে । 9 তম বিভাগে সোমা দেবতার উল্লেখ করা হয়েছে।চাতুর্বর্ণ্য সমাজের কল্পনার মূল উৎসকে ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে উল্লিখিত আছে ।যার মতে চারটি বর্ণ (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্র) যথাক্রমে আদি পুরুষ ব্রহ্মার।মুখ, বাহু, উরু এবং পা থেকে উদ্ভূতঘ ঘটেছিলো ।ধর্মসূত্রে চারটি প্রধান বর্ণের মর্যাদা, পেশা, দায়িত্ব, কর্তব্য এবং সুযোগ-সুবিধা বর্ণনা করা হয়েছে।ঋগ্বেদে ইন্দ্রের জন্য 250টি এবং অগ্নির জন্য 200টি স্তোত্র রচিত হয়েছে।
Comments
Post a Comment