Posts

Showing posts from April, 2024

ঘুম পাড়ানি মাসি- পিসি ghum parano masi pisi

Image
 ঘুম পাড়ানি মাসি- পিসি ঘুম পাড়ানি মাসি- পিসি মোদের বাড়ি এসো, খাট নাই পালং নাই খোকার চোখে বসো। বাটা ভরে পান দিবো গাল ভরে খেয়ো, খোকার চোখে ঘুম নাই ঘুম দিয়ে যেয়ো । চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদম তলায় কে, হাতি নাচছে ঘোড়া নাচছে সোনা মনির বিয়ে। খোকা গেছে মাছ ধরতে খোকা গেছে মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে, ছিপ নিয়ে গেল কলা ব্যাঙে মাছ নিয়ে গেল চিলে  খোকন খোকন ডাক পাড়ি খোকন খোকন ডাক পাড়ি, খোকন মোদের কার বাড়ি? আয়রে খোকন ঘরে আয়, দুধ মাখা ভাত কাকে খায় । আগডুম বাগডুম আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে, ঢাক ঢোল ঝাঁঝর বাজে। বাজাতে বাজাতে চললো ঢুলি, ঢুলি গেলো কমলাফুলি । কমলাফুলির টিয়েটা সুয্যি মামার বিয়েটা । কাজের লোক নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই। এই ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই। ছোট পাখি, ছোট পাখি কিচিমিচি ডাকি ডাকি কোথা যাও বলে যাও শুনি। এখন না কব কথা আনিয়াছি তৃণলতা আপনার বাসা আগে বুনি । পিপীলিকা, পিপীলিকা দলবল ছাড়ি একা কোথা যাও, যাও ভাই বলি। শীতের সময় চাই খানা খুঁজিতেছি। তাই হয় পায়ে পিলপিল চলি। খোকা ঘুমালো পা

নোটন নোটন পায়রা noton noton payra

Image
 নোটন নোটন পায়রা নোটন নোটন পায়রা গুলো ঝোটন বেঁধেছে। ও পাড়েতে ছেলে-মেয়ে নাইতে নেমেছে দুই ধারে দুই রুই কাতলা ভেসে ওঠেছে, কে দেখেছে? কে দেখেছে? দাদু দেখেছে। দাদুর হাতে কলম ছিল, ছুঁড়ে মেরেছে । উঃ বড্ড লেগেছে ।

ভোর হলো vor holo

Image
 ভোর হলো কাজী নজরুল ইসলাম ভোর হলো দোর খোল খুকুমণি ওঠ রে, ঐ ডাকে জুঁই-শাখে ফুল-খুকি ছোট রে। খুলি হাল তুলি পাল ঐ তরি চলল, এইবার এইবার খুকু চোখ খুলল । আলসে নয় সে ওঠে রোজ সকালে, রোজ তাই চাঁদা ভাই টিপ দেয় কপালে ।

ছুটি chutti

Image
 ছুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি, আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি। কী করি আজ ভেবে না পাই পথ হারিয়ে কোন বনে যাই, কোন মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলে জুটি, আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি।

হাট hat

Image
হাট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি বোঝাই-করা কলসি-হাঁড়ি গাড়ি চালায় বংশীবদন, সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন। হাট বসেছে শুক্রবারে বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে গ্রামের মানুষ বেচে কেনো উচ্ছে বেগুন পটল মুলো, বেতের বোনা ধামা কুলো, সর্ষে ছোলা ময়দা আটা, শীতের র‍্যাপার নক্সা কাটা, ঝাঁঝরি কড়া বেড়ি হাতা, শহর থেকে সম্ভা ছাতা। কলসিতরা এখো গুড়ে মাছি যত বেড়ায় উড়ে। খড়ের আঁটি নৌকো বেয়ে আনল ঘাটে চাষির মেয়ে, অক্ষ কানাই পথের 'পরে গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে। পাড়ার ছেলে স্নানের ঘাটে জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটে।

আমাদের ছোট গ্রাম amader gram

Image
আমাদের ছোট গ্রাম বন্দে আলী মিয়া আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর, থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর? পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই, এক সাথে খেলি আর পাঠশালে যাই? আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান, আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাঁচাইয়াছে প্রাণ? মাঠ ভরা ধান তার জল ভরা দিঘি, চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি? আম গাছ জাম গাছ, বাঁশ ঝাড় যেন, মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন? সকালে সোনার রবি পুব দিকে ওঠে, পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে?

বাপুরাম সাপুরে কবিতা bapuram sapure poem

Image
  বাবুরাম সাপুড়ে সুকুমার রায় বাবুরাম সাপুড়ে, কোথা যাস বাপুরে আয় বাবা দেখে যা, দুটো সাপ রেখে যা - যে সাপের চোখ নেই, শিং নেই, নোখ নেই, ছোটে না কি হাঁটে না, কাউকে যে কাটে না, করে না কো ফোঁসফাঁস মারে নাকো ঢুসটাস, নেই কোন উৎপাত, খায় শুধু দুধভাত, সেই সাপ জ্যান্ত, গোটা দুই আন তো, তেড়ে মেরে ডাণ্ডা ক'রে দিই ঠাণ্ডা।

তালগাছ কবিতা Talgach poem

Image
তালগাছ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে। মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়, একেবারে উড়ে যায়; কোথা পাবে পাখা সে? তাই তো সে ঠিক তার মাথাতে গোল গোল পাতাতে ইচ্ছাটি মেলে তার, মনে মনে ভাবে, বুঝি ডানা এই, উড়ে যেতে মানা নেই বাসাখানি ফেলে তার । সারাদিন ঝরঝর থখর কাঁপে পাতা-পত্তর, ওড়ে যেন ভাবে ও, মনে মনে আকাশেতে বেড়িয়ে তারাদের এড়িয়ে যেন কোথা যাবে ও। তার পরে হাওয়া যেই নেমে যায়, পাতা কাঁপা থেমে যায়, ফেরে তার মনটি যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার ভালো লাগে আরবার পৃথিবীর কোণটি। এই কবিত  পড়তে আপনাদের কোন সময়ের কোথা মনে পড়ে comment করুন ।